বদলার যুদ্ধে নামতে তৈরি পর্তুগিজ মহাতারকা |
সি আর সেভেন ম্যাজিক |
 |
শক্তি: দূরপাল্লার শট। জোরালো হেড। ডাইরেক্ট ফ্রি কিক। ড্রিবলিং। দুর্বলতা: ডিফেন্স করার ক্ষমতা। বড় ম্যাচে ব্যর্থতা। স্বার্থপর ফুটবল। রোনাল্ডো স্টাইল: চেটো ব্যবহার করে ড্রিবলিং করা। ভিতরে ঢুকে আসা। বার বার প্রান্ত বদল করা। শারীরিক শক্তি: জিমে একটা সেশনে ২০ টনের বেশি ওজন তোলেন। অর্থাৎ ১০টা অডি (৪×৪) গাড়ির মিলিত ওজন। ফ্রি কিক: রোনাল্ডোর ফ্রি কিক প্রতি সেকেন্ডে ৩২ মিটার গতিতে যায়। যেখানে ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির গতি বৃদ্ধি হয় সেকেন্ডে ৪.৬ মিটার। গতি: এক মরসুমে এক জন অলিম্পিক স্প্রিন্টারের থেকে ৯০০ গুণ বেশি দৌড়ন রোনাল্ডো। ১০০ মিটার দৌড়ন সাধারণত ১০.৬৩ সেকেন্ডে।
|
এই মরসুমে রোনাল্ডো |
মোট গোল ৬৮ | পেনাল্টি কিক ১৫ |
 হেড ৮ |  ফ্রি কিক ৬ |  ডান পায়ে ৩০ |  বাঁ পায়ে ৯ |
(লা লিগা ৪৬, স্প্যানিশ সুপার কাপ ১, কোপা দেল রে ৩, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ১০, প্রাক ইউরো ৫, ইউরো ৩) |
|
‘রোনাল্ডোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে’ নিজস্ব প্রতিবেদন |
তাঁর কাছে এটা বদলার ম্যাচ। বিপক্ষের কাছে এটা ইতিহাসকে ফিরিয়ে আনার লড়াই। আর ফুটবল দুনিয়ার কাছে লড়াইটা সি আর সেভেন ফুটবল বনাম তিকিতাকা ম্যাজিকের। ইউরো সেমিফাইনালের ৪৮ ঘণ্টা আগে অনেকেই কিন্তু অতীতে ফিরে ফিরে যাচ্ছেন। দু’বছর আগে যখন বিশ্বকাপ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে ছিটকে যায় পর্তুগাল। যে ম্যাচের পর রোনাল্ডো বলে ফেলেছিলেন, “অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে। আমাকে একা একা কষ্টটা সহ্য করতে দিন।” বুধবারের মেগা লড়াইয়ে নামার আগে সেই ম্যাচ কতটা ফিরে আসছে তাঁর কাছে? সিআর সেভেন শুধু বলছেন, “আমাদের ক্ষমতা আছে ফাইনালে পৌঁছনোর। নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।” উল্টো দিকে, রোনাল্ডোকে আটকানোর ছক যে তাঁদের তৈরি, তা বলছিলেন দেল বস্কি। “ভাববেন না, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবে রেখেছি,” মন্তব্য স্প্যানিশ কোচের। তাঁর সোজা সাপ্টা স্ট্র্যাটেজি: “রোনাল্ডোকে সব সময় ঘিরে রাখতে হবে। ঠিক যেমন দু’বছর আগে করা হয়েছিল।”
|
জার্মানদের জন্য বাড়তি সুবিধা কেন: প্রান্দেলি সংবাদসংস্থা • ক্রাকো |
সেমিফাইনাল যুদ্ধের আগে কেন জার্মানি দু’দিন বাড়তি বিশ্রাম পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল ইতালি। কোচ সিজার প্রান্দেলি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পরের ইউরোতে এ নিয়ে ভাবা উচিত উয়েফার। বলেছেন, “আশা করছি, পরের ইউরোতে এটা নিয়ে নিশ্চয়ই ভাববে উয়েফা। কোয়ার্টার আর সেমিফাইনাল যদি খুব কম সময়ের ফারাকে খেলতে হয়, তাতে কোনও লাভ হয় না।” প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে একই প্রশ্ন তুলেছিলেন স্পেন কোচ দেল স্কি। ইতালি কোচের আরও মনে হচ্ছে, জার্মানি একেই তরুণ ফুটবলারে ভর্তি। তার মধ্যে বাড়তি বিশ্রাম তাঁদের আরও ঝরঝরে করে দেবে। বলেছেন, “জার্মানদের ফিটনেস মারাত্মক। আমাদের ওদের সামান্য দুর্বলতাগুলো খুঁজে বার করে পাল্টা জবাব দিতে হবে। |
পির্লো ব্লক, পানেনকা কিক ও অন্য ইতালি |
|
জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় জিয়ানলুকো বুফোঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, পাগল হয়ে গিয়েছেন। গলা ফাটিয়ে চেঁচানো বলতে যা বোঝায়, তাই করছেন। নিজেকে তাতাতে। টিভি ক্যামেরা ধীরে ধীরে প্রতিটি মুখ ধরছিল। কাসানো, বালোতেলি, দি রোসি ধরতে ধরতে ঝাঁকড়া চুলের আন্দ্রে পির্লো। স্পেনের ইনিয়েস্তা, জাভিরা আবার কেউ একটা শব্দ গান করেন না। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় কঠোর মুখে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু ইতালিয়ানদের সবার ঠোঁট নড়ছে। চুপচাপ, শান্ত পির্লোর গলাতেও সুর। প্রতিটি শব্দের মানে বুঝে যেন গাইছেন। হৃদয় দিয়ে। ইউরো কোয়ার্টার ফাইনালটা ইতালিয়ানরা খেললেন হৃদয় দিয়ে। প্রতিটি পাসের মানে বুঝে। ইতালির বিশ্বখ্যাত কোচ আরিগো সাক্কি সত্যিই বলেছেন, “অল্প সময়ের মধ্যে প্রান্দেলি ইতালি দলটাকে একেবারে অন্য ব্যক্তিত্ব ও স্টাইল দিয়েছে।” ওই অন্য স্টাইলের সামনে ইংরেজদের এত অসহায় লাগল যে, সে দেশের প্রচারমাধ্যমে স্বস্তির টুকরো, “হেরে গিয়ে এক দিকে ভাগ্য ভাল। জার্মানির সামনে বেইজ্জত হতে হল না।” পুরনো কাতানেচিও-র পথ পেরিয়ে সম্পূর্ণ এক অন্য বাঁকে দাঁড়িয়ে ইতালি ফুটবল। এবং ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেখানে নব রেনেসাঁর পথ-সন্ধান দিলেন জুভেন্তাসের ‘আর্কিটেক্টো’ আন্দ্রে পির্লো। ইতালি ফুটবলের নতুন কলম্বাস বা মার্কো পোলো। হ্যারি রেডন্যাপ থেকে শুরু করে অ্যালান শিয়ারার, সবাই তাই ইংল্যান্ডের কাগজে বলেছেন, “আমাদের ভবিষ্যতে এমন বাচ্চা চাই যে পির্লোর মতো খেলবে।” |
 |
পির্লোর সেই অবিশ্বাস্য পেনাল্টি কিক। ছবি: এএফপি |
পির্লোর মতো খেলা মানে কী? ম্যাচটায় ইতালির ৮১৫টা পাসের পাশে ইংল্যান্ড পাস খেলেছে ৩২০টি। পির্লো সেখানে একাই খেলেছেন ১১৭ পাস। বিশ্বের অন্যতম সেরা ডেডবল স্পেশালিস্ট পির্লো একটা সময় জাভির মতো ‘বক্স টু বক্স’ মিডফিল্ডার হয়ে যাচ্ছিলেন, এক সময় আদত জায়গায় ‘ডিপ লাইং মিডফিল্ডার’ হিসেবে। তাঁর দাপটেই ইতালির ফুটবলে ক্রমাগত উন্নতি। ইতালির ডিফেন্সিভ থার্ড ও মিডল থার্ডের বিস্তৃত অঞ্চল অনেকের চোখে ‘জুভেন্তাস ব্লক’। গোলকিপিং, রক্ষণ, মাঝমাঠে জুভেন্তাসের ফুটবলার বেশি বলে। ইতালির কোচ প্রান্দেলি ক’দিন আগে বলেছেন, “ওটা হবে পির্লো ব্লক।” ওই পির্লো ব্লকে ইংরেজদের অসহায়ত্ব মাঝে মাঝে মনে করাল, ওরাই পুরনো আমলের ইতালি। কোনওমতে খেলাটা টাইব্রেকারে নিয়ে যেতে পারলেই বাঁচে যেন। ইংল্যান্ড কোচ রয় হজসনের কোচিংয়ে ইন্টার মিলানে কিছুদিন খেলেছেন পির্লো। তাঁকে আটকানোর উত্তর রয় খুঁজে পেলেন না। পির্লোর জবাব হতে পারতেন জেরার বা রুনি। প্রথম জনকে আনফিট দেখাল। দ্বিতীয় জন কন্ডিশনে না থাকায় খুঁজে বেড়ালেন পুরনো নিজেকে। এই টাইব্রেকারের ৪-২ ম্যাচটায় পির্লো-ব্লক ক্রমে পির্লো-রাজপথ হয়ে উঠল। টাইব্রেকারে পির্লোর চামচের মতো স্কুপটা ঘুমের ঘোরে চোখ এড়িয়ে গেছে? তা হলে ইন্টারনেট খুলে অবশ্যই দেখুন। ইন্টারনেট ভরে গিয়েছে ওই অলৌকিক কিকের ভিডিওতে। ইতালিতে ওই ধরনের কিককে বলে ‘কুকাচিও’ বা চামচ। বাকি ইউরোপের কাছে ওটা আসলে ‘পানেনকা কিক’। খুব আস্তে চিপ করে গোলকিপারকে উল্টো দিকে ফেলে মাথার উপর দিয়ে গোল। ’৭৬ সালে ইউরো ফাইনালের টাইব্রেকারে কিংবদন্তি জার্মান কিপার শেপ মেয়ারকে এ ভাবে বোকা বানিয়েই গোল করেন চেকোশ্লোভাকিয়ার অ্যান্টনিন পানেনকা। সেই থেকে ওই কিকের নাম ‘পানেনকা কিক’। সে দিন পানেনকাকে বলা হয়েছিল ‘কবি’। আর এ দিনের ‘আর্কিটেক্টো’ পির্লোকে তার আগের ১২০ মিনিটের পরিশ্রম ধরলে বলতে হবে ‘কবি, শিল্পী, ভাস্কর।’ ম্যাচটার পরে পির্লো ইতালির সাংবাদিকদের বলেছেন, “ইংরেজ কিপার হার্ট চেঁচামেচি করে, লাইনে নড়াচড়া করে আমাদের উপর চাপ তৈরি করতে চেয়েছিল। আমি পাল্টা চাপ তৈরি করতে চেয়েছিলাম ওদের কিকারদের উপর।” এবং সেটাই তো হল। কুকাচিওই বলুন, বা, পানেনকাপির্লোর ওই কিকের পরেই বিভ্রান্ত হয়ে অ্যাশলে কোল বুফোঁর হাতে বল জমা দিয়ে দিলেন। |
 |
টাইব্রেকারে কেন যে ইংল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে যেতে চেয়েছিল, সেটাই রহস্য! অতীতে পাঁচ বার বড় টুর্নামেন্টে শূন্য হাতে ফিরেছে টাইব্রেকারে পড়ে। মিসগুলো কে কে করেছেন, দেখা যাক।
১৯৯০ বিশ্বকাপ: ক্রিস ওয়াডল, স্টুয়ার্ট পিয়ার্স।
১৯৯৬ ইউরো: সাউথগেট।
১৯৯৮ বিশ্বকাপ: পল ইন্সে, ডেভিড বাটি।
২০০৪ ইউরো: বেকহ্যাম, ভাসেল।
২০০৬ বিশ্বকাপ: জেরার, ল্যাম্পার্ড, কারাঘার।
এ বার এই সূর্যাস্তের তালিকায় ঢুকে গেলেন দুই অ্যাশলেইয়ং এবং কোল।
স্পেন-জার্মানির টিমগেমের পাশে পর্তুগাল যদি দেড় জনের (রোনাল্ডো ও নানি) দল হয়, ইতালি তা হলে দু’জনের। পির্লো এবং বুফোঁ। এই দু’জনের সঙ্গে মারিও বালোতেলি ছাড়া আর কাউকে গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা চেনেন কম। সিরি এ টিভিতে দেখানোই যে হয় খুব কম। ম্যাচটায় দেখা গেল, স্পেন-জার্মানির পাসিং ও পজেশনাল ফুটবল ভাল রপ্ত করে ফেলেছেন ইতালিয়ানরা। ঠিক ৮ বছর আগে, ২০০৪ সালে প্রায় এক সঙ্গে এই তিনটে দেশের কোচ হয়েছিলেন লুই আরাগোনেস, যুরগেন ক্লিন্সমান, মার্সেলো লিপি। তার পর থেকেই তিন দেশের স্টাইল পাল্টাতে শুরু করেছে। শেষ কবে শুনেছেন ইংল্যান্ড ম্যাচে ইতালি বল পজেশন (৬৪%-৩৬%), গোলে শট (৩৫-৯) এ যোজন এগিয়ে? বালোতেলি তাঁর ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সতীর্থ হার্টকে টপকাতে পারলেন না অন্তত তিন বার। স্কোরটা নইলে ৫-২ হত! জার্মানিতে প্রতিভার ভিড়, ইংল্যান্ডের মতো আকাল নেই। ওজিল, সোয়াইনস্টাইগার, মুলার, গোমেজ, খেদিরা, পোডলস্কিরা সেমিফাইনালে এত সুযোগ দেবেন না ইতালিকে।
ম্যাচটার পরে বুফোঁকে দেখা গেল, সান্ত্বনা দিচ্ছেন ইংরেজ কিপার হার্টকে। ব্যর্থতার মধ্যেও ইংরেজদের সান্ত্বনা, এত দিনে এক জন ভাল কিপারকে পাওয়া। কিন্তু চোদ্দো বছর ইতালিতে খেলা বুফোঁ? পির্লোর মতো তিনিও অন্য গ্রহের। টাইব্রেকার শুরুর সময় কী আশ্চর্য শান্তি মুখে। হাসি মুখে গম্ভীর জেরারের সঙ্গে কথা বলে এলেন। প্রথমার্ধে দু’গজ দূরে দাঁড়ানো জনসনের পা থেকে অলৌকিক সেভ করেন বুফো। তখনও শান্ত। কী করবেন যেন জানতেন।
ইতালিতে ঘরোয়া ফুটবলে কেলেঙ্কারি হলেই জাতীয় দল সাফল্যের ঝড় তোলে! ইতালিয়ানরা বলেন, কালসিওপোলি! ছয় বছর আগের বিশ্বকাপের মতো এ বার ইউরোর আগেও বেটিং নিয়ে ‘কালসিওপোলি’র আবির্ভাব ইতালির ফুটবলে। তাতে জড়িয়ে গিয়েছে পির্লো-বুফোঁর জুভেন্তাসের নাম।
এখন সেই জুভেন্তাস-ব্লকই ইউরো জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে! ওহো, ভুল বললাম, ওটা পির্লো-ব্লক হবে। |
লিয়েন্ডারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন আডবাণী |
লিয়েন্ডার পেজের প্রতি যাতে কোনও অবিচার না হয়, সে জন্য আসরে নামলেন বিজেপির শীর্ষ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী।
তিনি আজ এই প্রতিবেদককে বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক যে ভাবে জলঘোলা করছে, তার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে কথা বলবেন স্থির করেছেন। বিজেপির শীর্ষ নেতা বলেন, “ছোটবেলায় করাচিতে থাকার সময় নিয়মিত টেনিস খেলতাম। আমি টেনিসের একনিষ্ঠ ভক্ত। আজকাল অবশ্য ক্রিকেট সম্পর্কে যতটা খবর রাখি, সে ভাবে টেনিসের খবর রাখা হয় না। কিন্তু সম্প্রতি বিষয়টি আমার নজরে আনে লিয়েন্ডার নিজেই। দিন সাতেক আগে লন্ডন থেকে লিয়েন্ডার আমাকে ফোন করে ওর অসুবিধার কথা বলে। লিয়েন্ডারই আমাকে বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিল। তার পর আমি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি।”
 প্রসঙ্গত, লিয়েন্ডারের আগে আডবাণীকে ফোন করেছিলেন মুম্বইয়ের ফ্যাশন ডিজাইনা শায়না এনসি। শায়না বিজেপি-র কার্যকরী কমিটির সদস্য। তিনি আডবাণীকে ফোন করে বলেন, “লিয়েন্ডার আপনাকে ফোন করে ওঁর সমস্যার কথা জানাবে। আপনি যদি সহযোগিতা করেন, তা হলে খুশি হব।” আডবাণী বলেন, “শায়নার ফোন পাওয়ার পরেই আমি লিয়েন্ডারের ফোন পাই। ওঁর সমস্যার কথা কৃষ্ণকেও জানিয়েছিলাম। কিন্তু এর পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।”
টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা অনিল খন্না এর পর আডবাণীর বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। জানা যাচ্ছে, অনিল খন্নাও আডবাণীর কাছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের ভূমিকার ব্যাপারে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। এখন এমন অভিযোগও উঠেছে, কৃষ্ণ নিজে কর্নাটকের প্রতিনিধি ও নিজে টেনিস খেলোয়াড়। মহেশ ভূপতি যেহেতু কর্নাটকের, তাই কৃষ্ণ বিশেষ ভাবে সমর্থন দিচ্ছেন মহেশকে। তাতে লিয়েন্ডার সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু অনিল খন্না আডবাণীকে বলেছেন, “একটি ম্যাচেই আমরা জেতার আশা করি, উইম্বলডনে সানিয়া ও লিয়েন্ডার জুটি যদি খেলে। তার চেষ্টা আমরা চালাচ্ছি। এ ব্যাপারে একটু সহযোগিতা করুন। সরকার কিন্তু বেঁকে বসেছে।”
অজয় মাকেন, কৃষ্ণ প্রমুখ কিছু রাজনৈতিক নেতা বিষয়টিকে জটিল করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আডবাণী বলেন, “টেনিসের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আমার কোনও আগ্রহ নেই। আমি চাইছি ভারত যাতে টেনিসের মান আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এ ব্যাপারে কোনও অবিচার হোক, আমি সেটা চাই না। সে কারণেই পরিস্থিতি যখন ঘোরালো হয়ে উঠেছে, আমি চাইছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটা সুষ্ঠু সমাধান করতে।” |
No comments:
Post a Comment